ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিতে গেছে রাশিয়ার ৩০০-এর বেশি সেনা সদস্য। একই সঙ্গে পাঠানো হয়েছে বিশেষ সামরিক সরঞ্জামের ৬০টি ইউনিট।
সিরিয়ায় অবস্থানরত রাশিয়ান বাহিনীর দেয়া তথ্যের বরাতে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
এতে বলেছে, রুশ সেনারা ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে এবং ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধার কাজে ৩০০-এর বেশি সেনা সদস্য ও বিশেষ সামরিক সরঞ্জামের ৬০টি ইউনিট অংশ নিয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নানা ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনে হামলা চালানো শুরু করে রাশিয়া। রুশ সেনারা একদিকে ওই দেশটিতে হামলা চালাচ্ছে, আরেক দিকে তাদেরই সহকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন সিরিয়ায় উদ্ধারকাজে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শুধু উদ্ধার কাজেই নয় বরং খাবারের প্যাকেট, জীবাণুনাশক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আলেপ্পো শহরের মানবিক সহায়তা পয়েন্টগুলোতেও পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে, যার উৎপত্তিস্থল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিক জেলায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) সংস্থার তথ্যমতে, প্রথমে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
এরপর অন্তত ১০০ বার কেঁপে ওঠে (আফটার শক) এ দুই দেশ। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল পরদিন দুপুর দেড়াটার দিকে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি। ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে হাজারো বাড়ি, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। দু দেশের হাজার হাজার মানুষ আহত হন; গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেকে।
দু দেশে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে এরই মধ্যে। তুরস্কে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩১ হাজার ৬৩৪ জনে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।