সরকারি সম্পত্তি হোক নদী-নালা-খাল-বিল এসবের দখল দারিত্ব হরহামেশাই দেখা যায়। নদী নালা খাল বিল ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে স্বল্প সময়ে বিত্তশালী হয়ে উঠেছে ওই সব ভুঁইফোড় ভূমিদস্যুরা। ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রাজধানীকে জলাবদ্ধতা হতে পরিত্রান দেবার জন্য ২০২১ সালের বর্ষার আগেই দখলকৃত সকল খালগুলো উদ্ধার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। কিন্তু নানাবিধ কারণে তা হয়ে ওঠে নাই। যদিও রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেয়র তাপস এর উদ্যোগে ব্যাপক দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর আওতাধীন এলাকায়।
রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর গেন্ডারিয়া এলাকায় কেশব বেনার্জী রোড এবং কালীচরণ সাহা রোডের মাঝে প্রবাহমান সুবিস্তীর্ণ মহিশা খালটি ধোলাইখাল এর সাথে সংযুক্ত হয়ে একসময় বুড়িগঙ্গার সাথে মিলিত হতো। কিন্তু বর্তমানে প্রায় দেড়শ ফুট প্রশস্ত খালটি দুপাশের স্থানীয়দের দখলে। প্রবাহমান খালটি ভরাট করে খালের দু’পাশের স্থানীয় বাসিন্দারা গড়ে তুলেছে বিভিন্ন স্থাপনা। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের প্রভাব খাটিয়ে এহেন অপকর্ম করে চলছেন তারা। মহিশা খালের ভরাট ও দখলের কারণে যেন কোন ধরনের জলাবদ্ধতা না হয় তাই সেখানে নির্মিত হয়েছে একটি সরু বক্স কালভার্ট যার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ খালটির মূল জায়গার ১০০ ভাগের ১০ ভাগও নয়। মহিশা খালটির ৯০ ভাগ জায়গার দুপাশের ভূমিখেকোদের ভোগ দখলে রয়েছে।
৪৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার এবং প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ মিনুর কাছে মহিশা খাল দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন “এখানে কারো রামরাজত্ব চলতে দেওয়া যাবেনা, যারা সরকারের তথা সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি দখল করেছে তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে, এ ব্যাপারে মেয়র মহোদয় অবগত আছেন” তাছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসী এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন মহিশা খাল উদ্ধার করে নগরপিতা আমাদের একটি পার্ক এবং একটি হাসপাতালের ব্যবস্থা করে দিক, এতে এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হবে এবং তারা আরও আশাবাদ ব্যক্ত করেন অচিরেই পুরনো ঐতিহ্যবাহী মহিশা খাল দখলমুক্ত হবে।