রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গোপন কক্ষে গিয়ে ভোটদানে প্রভাবিত করায় একজন নারীকে আটক করা হয়েছে। পাশাপশি সেই নারীকে তিন দিনের সাজা দেয়া হয়েছে। রাজশাহীর তালাইমারী দারুল উলুম আলীম মাদ্রাসা থেকে এই নারীকে আটক করা হয়।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একযোগে ভোটগ্রহণ চলে। দুই সিটিতে ৮ লাখের বেশি নাগরিক ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নগরপিতা নির্ধারণের সুযোগ পাবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন ভোটার পাশাপশি রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৭৬ জন।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সকাল থেকেই সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছি। পাশাপশি টিভির তথ্যগুলোও দেখছি। ভোটগ্রহণ ভালোভাবে হয়েছে। কোনো অনিয়ম খবর পাই নাই। ইভিএমে নানা ত্রুটি ধরা পড়েছে। সেগুলো আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।’
কোথাও ভোট থেমে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মাঝে রাজশাহীতে বৃষ্টি হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা নাই। আমাদের মনিটরিং সেল থেকে কোনো অনিয়মের তথ্য পাই নাই।’
রাজশাহীতে ১২৬ নাম্বার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ধীরগতির হয়েছিল জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘ইভিএমে যে সমস্যা হয়েছিল সেগুলো কোথাও নাই।’
রাজশাহীর একটি ভোটকেন্দ্রে ঢাকা থেকে একজন নারীকে একাধিকবার বুথে ঢুকতে দেখেছি। তাকে আটক করে অলরেডি শাস্তি দেয়া হয়েছে।’
সিলেটে এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানান এই কমিশনার। ভোটগ্রহণ অতিবাহিত হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলেও জানান তিনি।