নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনার ভ্যাকসিন সবাই পাবে। তবে একসঙ্গে নয়। ধাপে ধাপে পাবে। ভ্যাকসিন দেশে এলে সেটি কীভাবে, কাদের, কখন দেওয়া হবে তা নিয়ে একটি বড় পরিকল্পনা আমরা করেছি। একসঙ্গে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সক্ষমতা শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর কোনও দেশেরই নেই। কাজেই যাদের আগে দেওয়া দরকার তাদেরই দেওয়া হবে। সেই সময় পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৬ মাস পর্যন্ত দেখা গেছে। এটা হয়তো আরও বাড়তে পারে। তবে নিশ্চিত হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। এরপর আবার ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে কিনা সেটা এখনও জানা যায়নি। আবার একসঙ্গেও বেশি ডোজ নেওয়ার সুযোগ নেই। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আবার ভ্যাকসিন নিলেও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা.বে-নজীর বলেন, আগামী মার্চের দিকে পরীক্ষা করে দেখা হবে যে ভ্যাকসিনগুলোর কার্যকারিতা এক বছর পর্যন্ত থাকে কিনা। ফাইজার, মডার্না, স্পুটনিক ভ্যাকসিগুলো ৬ মাস পর্যন্ত সুরক্ষা দিবে এটা নিশ্চিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হয়তো আপাতত এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে করোনার ভ্যাকসিন দুই ডোজ নেওয়ার পর আর নেওয়া যাবে না। স্পুটনিকের তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ, বাকিগুলার চার সপ্তাহ পরে।