নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে পালনের জন্য সবাইকে নিরাপদ রাখতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
পূজামণ্ডপে কমপক্ষে দুই হাত দূরত্ব নিশ্চিত ছাড়াও মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচী নাচ ও শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পুরুষ-নারীদের জন্য পৃথক এবং নির্দিষ্ট থাকতে হবে।
২. পূজামণ্ডপে আসা ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমাটি গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. পূজামণ্ডপে আসা সবার মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৫. মন্দিরের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. সর্দি, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করবেন না।
৭. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু ও বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচী নাচ ও শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৯. ধর্মীয় উপাচার ব্যতীত অন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।
১০. পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজন নির্দিষ্ট দূরত্ব (৩ ফুট/কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে, যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।
১১. স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।