দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ‘বিমসটেক’ সনদের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলন গৃহীত ও স্বাক্ষরের জন্য বিমসটেক সনদ মন্ত্রিসভায় দেওয়া হয়। আগামী ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে পঞ্চম বিমসটেক সম্মেলন হবে। এর আগেই সনদ সই করতে হবে।
সনদে ১১টি অধ্যায় এবং ৩৬টি অনুচ্ছেদ রয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেকের সেক্রেটারিয়েল ফাংশন দেবে এবং সেক্রেটারিয়েট ঢাকাতে হবে। সেজন্য এটা অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল। এটা আইন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখে দিয়েছে।
বিমসটেক সনদ স্বাক্ষর করার ফলে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি বাণিজ্যিক অঞ্চল গঠন করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার বড় উন্নয়ন হবে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে সরাসরি ট্রাক বা অন্য মাধ্যমে মালামাল আনা-নেওয়া করা যাবে।
সবচেয়ে বড় জিনিস হলো- বঙ্গোপসাগরের যে প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অন্যান্য মিনারেলস আছে, সেগুলো কো-অপারেট ওয়েতে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে, জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।