মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ব্যতিক্রমী। এবার মন্ত্রিসভায়ও কোনো চিত্রজগতের তারকাকে স্থান দেননি মমতা।
তবে ঠিকই আইপিএল তারকা মনোজ তিওয়ারিকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। প্রথমবার নির্বাচনে জিতেই মন্ত্রী হয়ে গেলেন ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার।
আইপিএলে শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সতীর্থ তিনি।
সোমবার কলকাতার রাজভবনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মনোজ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর সামলাবেন তিনি। এর আগে এই দপ্তরের দায়িত্ব ছিল কেকেআর ও ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লার ওপর।
এদিকে শপথ নেওয়ার পরও নিজেকে মন্ত্রী বলে বিশ্বাস হচ্ছে না মনোজ তিওয়ারির।
এক প্রতিক্রিয়ায় ভারতের গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এতজন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য থেকে মন্ত্রী নেওয়া হয়েছে মাত্র ৪৩ জনকে। এর মধ্যে আমি আছি। এটা আমার জন্য বিরাট পাওয়া। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে এমন সম্মান দিয়েছেন, আমার ওপর ভরসা রেখেছেন, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’
ক্রিকেটকে এখনও বিদায় বলেননি মনোজ। এখনও আইপিএলে ব্যাট চালান তিনি। খেলেন অন্যান্য ঘরোয়া লিগও।
এবার মন্ত্রী হয়ে যাওয়ায় কি থামবে তার ব্যাট?
এ বিষয়ে মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘আমি এখনো ক্রিকেটকে বিদায় জানাইনি। অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তবে মন্ত্রিত্ব অনেক বড় ও কঠিন দায়িত্ব। এটা সামলে ক্রিকেটে মনযোগী হতে পারব কি না সেটাই প্রশ্ন। দেখা যাক, পরে কি হয়। আপাতত সামনে তো কোনো খেলা নেই।’
গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শপথ নিয়েছেন বিধায়করাও। সোমবার গঠিত হয়েছে রাজ্যের নয়া মন্ত্রিসভা। শপথ নিয়েছেন ৪৩ জন জয়ী বিধায়ক।
এবারের ভোটে একঝাক তারকাকে মনোনয়ন দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সায়নী ঘোষ, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, চিরঞ্জিৎ, লাভলি মৈত্র, অদিতি মুন্সি ও কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে দলের টিকিট তুলে দেন মমতা।
ভোটে জিতেছেন ৬ তারকা প্রার্থী— জুন মালিয়া, লাভলি মৈত্র, রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, অদিতি মুন্সি ও চিরঞ্জিৎ। তাদের কারো নাম নেই মন্ত্রিসভার তালিকায়।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে টালিউড সেনসেশন নুসরাত ও মিমি চক্রবর্তী এবং জনপ্রিয় নায়ক দেব তৃণমূলের হয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়ান। তবে তাদের দলের টিকিট দেননি মমতা। তাদের কাউকে মন্ত্রিসভায়ও নেননি।