শেখ আলী হোসেন রনি, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রতিনিধি: ২৬,অক্টোবর শনিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের মধ্যে পাহাড়সম বৈষম্য বিদ্যমান।ফলে, একদিকে বৈষম্যের শিকার ক্যাডার সদস্যগণ তাদের দায়িত্বের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন,অন্যদিকে মেধার যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়েও রাষ্ট্র দিতে পারেনি একটি জনবান্ধব সরকার কাঠামো।এমন বৈষম্য দূর করতে অন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ সরকারের কাছে তথ্য ও উপাত্তসহ কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।উপদেষ্টামন্ডলীর সাথে সাক্ষাত চেয়ে তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।ইতোমধ্যে কয়েকজন উপদেষ্টার সহিত পরিষদের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্যদের সাথেও বৈষম্য নিরসন পরিষদ এর অন্তর্ভুক্ত সকল ক্যাডার সদস্যের সক্রিয় অংশগ্রহণ আশা করছি।চাকরিতে প্রবেশ পথের কোটা বৈষম্য দূর করতে যে ছাত্ররা তাদের বুকে রক্ত ঝরালো,চাকরিতে প্রবেশের পরের বৈষম্য দূর করে তাদেরকে সুন্দর একটা কর্মপরিবেশ উপহার দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
পরিষদের অন্তর্ভুক্ত ২৫ টি ক্যাডারের সমস্যা ও সমাধান গভীরভাবে পর্যালোচনা করেছে আন্ত ক্যাডার বৈষম্য নিদর্শন পরিষদ।এবং সমস্যা গভীরে পর্যালোচনা করে তিনটি মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে।এ পরিষদ মনে করে আলোচ্য তিনটি সমস্যার সমাধান করলে সকল ক্যাডারের মধ্যকার বৈষম্য দূর হবে এবং জনবান্ধব রাষ্ট্র কাঠামোট তৈরি হবে।আপনাকেও পরিষদের সাথে একাততা প্রকাশ করে জনবান্ধব রাষ্ট্রনির্মাণে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।পেশা দায়িত্ব নিশ্চিত করা,মেধার ভিত্তিতে সিভিল প্রশাসন গড়ে তোলা,জনগণের মধ্যে জনবান্ধব প্রশাসন প্রস্তুত করা।
আমরা বিশ্বাস করি, জনবান্ধব ও জনগণের সরকার নিশ্চিত করতে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার এসব বৈষম্য দূর করার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করবে।সে ক্ষেত্রে আমরাও সরকারের সাথে থেকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞের সরকারকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।আগামী দিনে বৈষম্যহীন একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধতা প্রত্যাশী।