1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

মরিনহোর বিপক্ষে উয়েফার অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৩ জুন, ২০২৩

বুদাপেস্টে বুধবার ইউরোপা লিগের উত্তেজনাকর ফাইনালে রেফারি অ্যান্থনি টেইলরকে উদ্দেশে করে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করায় রোমা কোচ হোসে মরিনহোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে উয়েফা।
৬০ বছর বয়সী মরিনহোকে ম্যাচের এক পর্যায়ে হলুদ কার্ড দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন টেইলর। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র থাকার পর পেনাল্টিতে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জয় করে সেভিয়া।
প্রাক-ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনে টেইলরের সমালোচনা করেছেন মরিনহো।
সমর্থক ও খেলোয়াড়দের আচরণের কারনেও উভয় দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে উয়েফা। দুই দলই আইনের বাইরে গিয়ে মাঠের ভিতর বিভিন্ন ধরনের বস্তু ছুড়ে মেরেছে, আতশবাজি ফুটিয়েছে।
টেইলর ও তার পরিবারের প্রতি যে ধরনের হিংসাত্মক আচরণ করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উয়েফা। ভবিষ্যতে ম্যাচ পরিচালনকারী রেফারিদের জন্য স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোড়াদার করা হবে বলে উয়েফা নিশ্চয়তা দিয়েছে। এই ধরনের আচরণ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ফেয়ার প্লের চেতনা ও একইসাথে উয়েফা যে সম্মান ধরে রাখতে চায় তাকে ক্ষুন্ন করে। একটি ম্যাচের আবহ ও স্বচ্ছতা ধরে রাখার নিশ্চয়তায় রেফারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। আর সে কারনেই তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মাঠের আইন ভঙ্গ করায় সেভিয়ার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত আরো কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। বিভিন্ন বস্তু ক্ষতিগ্রস্ত করা ও সমর্থকদের বাধা দেওয়ার পেছনে রোমাকে দায়ী করা হয়েছে।
উত্তেজনাকর ম্যাচটিতে টেইলর দুই দল মিলিয়ে সর্বমোট ১৩ জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন। এর মধ্যে রোমার সাতজন খেলোয়াড় ছিল। অস্বাভাবিকভাবে প্রচুর সংখ্যক ফাউলের কারনে ম্যাচের গতি প্রায়ই নষ্ট করেছেন। এ জন্য ম্যাচটি শেষ হতেও বিলম্ব হয়েছে।
ম্যাচ শেষে বুদাপেস্ট বিমানবন্দরে রোমা সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন ইংলিশ রেফারি টেইলর। এ সময় টেইলরের সঙ্গে তার পরিবারও ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের শেষ পর্যন্ত বিমানবন্দর নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতে হয়েছে। এ সময় ইতালিয়ান এক ব্যক্তির বিপক্ষে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যদিও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
রেফারিদের পেশাদার সংগঠন পিজিএমওএল বলেছে, ‘উয়েফা ইউরোপা লিগের ফাইনাল শেষে অ্যান্থনি ও তার পরিবার বাড়ি ফিরে যাবার সময় তার প্রতি যে ধরনের অযৌক্তিক এবং ঘৃন্য অপব্যবহার করা হয়েছে সে জন্য আমরা আতঙ্কিত।’
এ নিয়ে সাতবারের ফাইনালে সাতটিতেই জয়ী হলো সেভিয়া। অন্যদিকে মরিনহোর কোচিং ক্যারিয়ারে ইউরোপীয়ান ফাইনালে এটাই প্রথম হার।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি