রাজধানীর মহাখালী রয়েল পেট্রোল পাম্পে গ্যাস পাইপ থেকে বিস্ফোরণে আটজন দগ্ধের ঘটনায় মাসুম (২৩) নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সোয়া ১১টার দিকে মো. মাসুম মারা যান। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মৃত মাসুমের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার রামনাথপুর গ্রামে, তিনি ওই ফিলিং স্টেশনে অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে মহাখালীর ওই ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণের এ ঘটনায় আটজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবুল খায়ের (৪০) । রোববার রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন (৪৫) ।সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. আমির হোসেন শুভ(৩৫)।
পরদিন বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুম (২৫) নামের আরও একজন মারা যান। তার শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ ও শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
মহাখালীর আগুনে দগ্ধ আটজন হলেন- মো. মামুন শেখ (২৮), মো. রানা (৩০), জীবন (২৬), মো. সালাউদ্দিন (৪৫), মো. আমির হোসেন (৩২), মো. কামাল হোসেন (৫০), আবুল খায়ের (৪০) ও মাসুম (২৪)।
তাদের মধ্যে আবুল খায়ের, সালাউদ্দিন, আমির হোসেন ও মো. মাসুম মারা গেছেন। বাকি তিনজন বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দগ্ধ অন্য একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।