জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নারীদের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো জয় করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে, জেসিআই বাংলাদেশ কর্তৃক ‘উইমেন অব ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার নারীদের উৎসাহিত করার মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে।
তিনি বলেন, মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর আর্থ-সামাজিক অবদান অস্বীকার করা যাবে না। সমতাভিত্তিক সুন্দর ভবিষ্যৎ প্রত্যেক নারীর মৌলিক অধিকার। টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ সরাসরি নারী উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। দারিদ্র্য, বৈষম্য, অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশ গ্রহণের সুযোগের অভাব পাশাপাশি নারী নেতৃত্বের অভাব একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। করোনালীন লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য বাড়ার পাশাপাশি নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। করোনার সময়ে উদ্ভূত এ ধরনের সংকটপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো উত্তরণ করে লিঙ্গ সমতাভিত্তিক উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণ তথা নারীর ক্ষমতায়নে উদ্ভাবনী নীতি ও কৌশল প্রণয়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, নারীরা পরিবর্তনের কার্যকর নিয়ামক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অনন্য দৃষ্টান্ত। করোনার সময়ে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য তিনি সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক ‘ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ’ সম্মাননা অর্জন করেছেন যা জাতির জন্য গৌরবের। শুধু শহরেই নয়, গ্রাম পর্যন্ত তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের নারীবান্ধব বাজেট প্রণীত হচ্ছে। বর্তমান সংসদে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য (এমপি) ছাড়াও ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য (এমপি) সরাসরি নির্বাচিত। নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ, তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকার বিস্তৃত করেছে।
জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইসমাত জাহান লিসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংসদ সদস্য (এমপি) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ, ইউএস অ্যাম্বাসির ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়ান ওয়াগনার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নাসিমা আক্তার নিশা, টিনা এফ জেবিন, রাসনা ইমাম, সেজুতি সাহা, শাম্মা নাসরিন, নাহিতা নিশমিন, রুখমিলা জামান, ফারহানা রফিক উজ্জামান,কর্নেল ডা. জেবুন নাহার, প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব, নাহিদ সুলতানা যুথি, সানজিদা হক আরেফিন লুনা, মাসুমা রহমান নাবিলাকে ‘উইমেন অব ইন্সপাইরেসন ২০২১’ পুরস্কার দেওয়া হয়।