ঘটনাটি ২০২০ সালের । তৎকালিন আনসার ব্যাটেলিয়ানের মহাপরিচালকের বাস ভবনে কর্মরত ছিলেন ব্যাটালিয়ান আনসার মোঃ মফিজুল ইসলাম। যার আইডি নং ১৯১৩২২২। মহাপরিচালকের বাসায় কর্মরত থাকার সুবাদে তার নাম ভাঙিয়ে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এর পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখেন। এমনি একটি ঘটনার তথ্য প্রমাণ এসছে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির হাতে। এতেই স্পষ্ঠ হয়ে উঠেছে মফিজুলের প্রতারণার সত্যতা।
জানা গেছে, থানা আনসার ও ভিডিপি প্রশিক্ষক পদে পদে চাকুরি দেয়ার কথা বলে পিসি মোঃ সাইদুর রহমান যার অঅইডি নং ৩৯১৯৩ এর কাছ থেকে বিভিন্ন ডকুমেন্টস প্রদান করে ৭ লাখ টাকা হাতিযে নেয়। সে সময় তাকে জানানো হয় মহাপরিচালক মহোদয়কে এ টাকা দেয়া হযেছে। চাকুরি নিশ্চিত। কিন্তু চাকুরি না হওয়ায় বার বার তার সাথে যোগযোগ করে টাকা ফেরত চাইলে মফিজুল বলতে থাকে যে মহাপরিচালক টাকা ফেরত দিচ্ছে না। তাই টাকা দিতে দেরি হবে। এর কিছুদিন পর সে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেয়। সাইদুর রহমান ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে এবং ৩০০ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে এ টাকা গ্রহণ করেন।
দীর্ঘ সময় ঘোরাঘুরি ও টাকা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে অসহায় মফিজুল পরিচিতজনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে প্রতারণার এ কাহিনী তুলে ধরার আবেদন করনে।
এ বিষয়ে মফিজুলের সাথে যোযোগ করা হলে তিনি চাকুরি দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন তিনি এ টাকা কিছু কিছু করে ফেরত দিবেন। কিন্তু তিনি চাকুরি দিতে পারেন কিনা বা কার মাধ্যমে তিনি চাকুরি দিতে চেয়ে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কারো নাম বলতে চাননি। মহাপরিচালকের নামভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব লিখলে আমার চাকুরিটা চলে যাবে।তখনতো মাসুদ আর টাকা ফেরত পাবে না।
পর্ব-০২
যে ভাবে সাজানো হয় প্রতারণার ফাঁদ..