বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার পর এবার খাদ্য ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছে ধনীরা। বাড়াচ্ছে সম্পদ। তৈরি হচ্ছে নতুন বিলিওনিয়ারও। বিপরীতে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
লাখ লাখ মানুষ যখন দুই বেলা খাবারের জন্য হাহাকার করছে, কোটিপতিরা তখন সম্পদ বাড়ানোর আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত।
ধনী-গরিব বৈষম্যের এমন ভয়ঙ্কর চিত্র আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফামের ‘প্রফেটিং ফরম পেইন’ গবেষণা প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, মহামারির দুই বছরে নতুন বিলিওনিয়ার হয়েছে ৫৭৩ জন। যাদের সম্পদের পরিমাণ এক লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলার।
এর মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে নতুন বিলিওনিয়ার ৪০ জন। শুধু করোনার ভ্যাকসিন বিক্রির একচ্ছত্র ব্যবসায় মর্ডানা ও ফাইজারের লাভ প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার ডলার।
খাবার ও জ্বালানি খাতে বিলিওনিয়ারদের সম্পদ বেড়েছে ৪৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি।
জ্বালানি খাতের সবচেয়ে বড় পাঁচ কোম্পানি- বিপি, শেল, টোটাল এনার্জিস, এক্সন ও চেবরন। প্রতি সেকেন্ডে লাভ করেছে আড়াই হাজার ডলারের বেশি। আর খাদ্য খাতে নতুন বিলিওনিয়ার ৬২ জন।
বিপরীত চিত্র নিম্ন ও নিম্নমধ্য আয়ের দেশগুলোতে। পূর্ব আফ্রিকায় প্রতি মিনিটে খাবারের অভাবে মারা যাচ্ছে অন্তত একজন। লাখ লাখ মানুষ বেঁচে থাকতে ন্যূনতম খাবার পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে নামতে যাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ।
অক্সফাম বলছে, কঠোর শ্রম দিয়ে নয়, বরং করফাঁকিসহ নানা অবৈধ পন্থায় অর্থ বাড়িয়ে চলেছে ধনীরা। ফলে প্রতি ৩০ ঘণ্টায় একজন করে নতুন বিলিওনিয়ার তৈরি হচ্ছে।
চলতি বছরও বৈষম্যের প্রভাব পোহাতে হবে বিশ্বকে। অক্সফামের তথ্যমতে, এ বছর বিশ্বে দারিদ্রসীমার নিচে পৌঁছাবে ২৬ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ।