সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, গুজবসহ বিশৃঙ্খলার কারনে কোন শিল্প কারখানা যেন বন্ধ না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রেখে কাজ করছেন শিল্প পুলিশ।
শিল্প ও শ্রমিকের নিরাপত্তায় পুলিশকে সর্তক অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং সেই সাথে কারখানা ছুটির পরে নারী শ্রমিকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারে, সেজন্য মহাসড়কে শিল্প পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় শিল্প পুলিশ-১ কার্যালয়ে কারখানার মালিক,শ্রমিক,জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতাদের
সাথে মতবিনিময় সভা শেষে, সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম এসময় আরও বলেন,শ্রমিকদের সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে, বাংলাদেশের রপ্তানীতে শ্রমিকদের ভুমিকা অনেক, জানিয়ে তিনি আরও বলেন,করোনা ভাইরাসের কারণে এপর্যন্ত সারা দেশে তিন’শ ২১ টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সুসর্ম্পক বজায় থাকলে কারখানায় উৎপাদন দ্বিগুণ হয় ও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না বলেও তিনি জানান। আসন্ন কোরবানীর
ঈদের আগেই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানান। এ মতবিনিময় সভায় ,সাভার পৌর মেয়র হাজ্বী আব্দুল গণি,বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানী প্রস্তুতকারণ প্রতিষ্ঠান (বিজিএমইএর) সহ-সভাপতি খালেদ মুনসুর,শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।