রোববার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে ‘পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি আসে।
তিনি বলেন, “দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সকল সহযোগিতা করবে সরকার। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে ‘অত্যন্ত আগ্রহী’ জানিয়ে শ ম রেজাউল করিম বলেন, “এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে, সেটা আমরা সমাধান করব। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করব।”
তিনি বলেন, মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরির শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ কমানো যাবে এবং কম খরচে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তোদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। পাশাপাশি এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
“রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হত না। করোনা সঙ্কটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবেলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমান বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।”
বাংলাদেশ উন্নয়নের ‘অপ্রতিরোধ্য গতি নিয়ে’ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে রেজাউল করিম বলেন, অর্থনৈতিক সূচকে পাকিস্তান, নেপাল, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটা ভালো সম্ভব হয়েছে ‘ব্যবস্থাপনার কারণে’।
“একজন ভালো ক্যাপ্টেনের কারণে হয়েছে। রাষ্ট্রকে তিনি পরিচালনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা সুন্দর থাকলে সবকিছু সামনের দিকে এগিয়ে যায়।”
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে সাংবাদিকরা কাজ করেন, তাদের সকলকে অ্যাওয়ার্ড দিতে না পারলেও তাদেরকে মনেপ্রাণে আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।তবে অপসাংবাদিকতার বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে ৪ জন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে ৪জন, বার্তা সংস্থা/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন ও পোল্ট্রি/কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন/অনলাইন ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।