এটাই হতে যাচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শেষ বিশ্বকাপ। প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন সিআরসেভেন ঘানার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে। উরুগুয়ের বিপক্ষে পরের ম্যাচে চুলচেরা বিশ্লেষণে তার গোলের দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হারের ম্যাচে মাঠ থেকে আগেভাগে উঠিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ ঝারেন, যা পছন্দ করেননি পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ধারণা করা হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন তিনি, এমনকি জায়গাও।
এর আগে সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এরিক টেন হ্যাগ মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ায় ক্ষোভ দেখান, আরেকবার স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। শীতল সম্পর্কে শেষ পর্যন্ত ছেদ ঘটে বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের পর। এবার জাতীয় দলেও একই কাণ্ড করায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সান্তোস।
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-১ গোলে হারের ম্যাচে ৬৫তম মিনিটে রোনালদোর বদলি নামানো হয় আন্দ্রে সিলভাকে। মেজাজ হারান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রোনালদো ঠোঁটে আঙুল দিয়ে কাউকে চুপ করতে বলছেন। চোখেমুখে রাগ। ক্যামেরায় তাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ার এত তাড়া ছিল তার।’
বদলি হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় দক্ষিণ কোরিয়া খেলোয়াড় চো গুয়ে-সুংয়ের সঙ্গে তর্কও করতে দেখা গিয়েছিল রোনালদোকে। সান্তোসের চোখে এসব কিছুই তখন ধরা পড়েনি। ম্যাচ শেষে তিনি জানতে পারেন এসব।
মাঠ থেকে উঠিয়ে নেওয়ায় রোনালদোর প্রতিক্রিয়ার ভিডিও ফুটেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে কোচ বলেন, ‘জবাব দুই ভাগে দেওয়া যাক। ম্যাচ শেষ হওয়ার ঠিক পরে আমি সঙ্গে সঙ্গে একটা সাক্ষাৎকার দিলাম, তারপর গেলাম সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে আমি যা বলেছি, সেটাই এখন বলবো: মাঠে আমি কিছু শুনিনি। আমি অনেক দূরে ছিলাম। তাকে শুধু একজন দক্ষিণ কোরিয়ান খেলোয়াড়ের সঙ্গে তর্ক করতে দেখলাম, আর কিছু না।’
সান্তোস আরও বলেন, ‘আমি ফুটেজ দেখেছি কি না? হ্যাঁ, আমি এটা পছন্দ করিনি। একদমই পছন্দ করিনি। তবে ওই ইস্যু ওখানেই শেষ। রুদ্ধদ্বারে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। এখানেই এ ব্যাপারে দাঁড়ি টানছি। এখন সবাই কালকের ম্যাচ নিয়ে ভাবছে।’
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে রোনালদোর অধিনায়কত্ব কিংবা দলে জায়গা হারানোর গুঞ্জন নিয়ে সান্তোস বলেছেন, ‘আমি শুধু ড্রেসিংরুমেই দলকে জানাই, কারা খেলবে। আমরা যখন স্টেডিয়ামে, তখন দলে কারা কারা থাকবে জানতে পারবে। এটা সবাই জানে। আমি আসার পর থেকে এটা করছি। আগামীকালও তেমনটা হবে।’
মুখে আঙুল দিয়ে কাকে চুপ করতে বলছিলেন, সেটা জানিয়েছেন রোনালদো, ‘আমার মাঠ ছাড়ার সময় তাদের (দক্ষিণ কোরিয়া) একজন খেলোয়াড় আমাকে তাড়াতাড়ি চলে যেতে বলছিল। আমি তাকে মুখ বন্ধ করতে বললাম, সে এটা বলার কে, কোনও কিছু বলার অধিকার নেই।’