নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি সভ্যতার প্রাচীনতম অপরাধের একটি সামাজিক ব্যাধি। এ অপরাধ বৈশ্বিক। তবে মাত্রার তারতম্য রয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রয়েছে, এ কথা অস্বীকার করা সমীচিন হবে না। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, সরকারি পরিসেবা সর্বোপরি মানুষের জীবনমান উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে দুর্নীতির নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। এ থেকে পরিত্রাণের সংক্ষিপ্ত কোনও পথ হয়তো নেই। তবে কোনওভাবেই দুর্নীতির কাছে পরাজিত হওয়ার সুযোগ নেই।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স লাউঞ্জে বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯ প্রকাশ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। বার্ষিক প্রতিবেদনে সরকারি চাকরিতে সকল পদোন্নতি পরীক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে দুদকের সুপারিশ তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যান ছাড়াও দুই কমিশনার, সচিব, মহাপরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ কমিশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনটি রবিবার রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দুদকে মোট অভিযোগ আসে ২১,৩৭১টি, অনুসন্ধানের জন্য নেওয়া হয় ১,৭১০টি, একই বছরে মোট মামলা ২৬৩, চার্জশিট ২৬৭টি, সাজার হার ৬৩ শতাংশ।