সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সমাজের সম্মানিতদের নিয়ে অপপ্রচার ও কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে সিরাজদিখানের চোরমর্দন গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মাদকসেবী মোহাম্মদ রোমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত রোমান হাওলাদার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করে তার ফেইসবুক আইডি থেকে প্রচার করেন।
জানা যায়, রোমান হাওলাদার টাকার বিনিময়ে এক ছাত্রীকে হত্যারচেষ্টা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। গত ২০১৬ সালের
১৯ অক্টোবর বুধবার এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা তফিজউদ্দিন হাওলাদার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। রোমানসহ ৩ জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন। সে মামলায় এক বছরের সাজা ভোগ করেন এই মাদকসেবি রোমান হাওলাদার। সে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ইয়াবা টেবলেট সাথে রাখার দায়ে গত ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি
সোমবার সিরাজদিখান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দিলে ২৮ দিন জেল খাটেন। চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মে তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি হয়েছিলো। যেমন তারিখ ২২.০৯.২০১৬ জিডি নং ৭৮৪, ৭৮৫। তারিখ ২৩.০৯.১৬ জিডি নং ৮২৬। এছাড়া অভিযোগ ও মামলা রয়েছে (সিআর (ডিএমপি) নং- ৩৩/২০২৪ চলমান)।
আরো জানা যায়, উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গত ১১ জুন, বৃহস্পতিবার ২০২০ সালে সিরাজদিখান উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে আইসিটি আইনে মামলা করেন। সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেনের ক্যামেরা চুরি করলে থানায় অভিযোগের ভয় দেখিয়ে নিউজ করে (সূত্র : বার্তা বাজার গত ১৪ জুন ২০২০ সাল)। এর আগে মাদকসেবনের অভিযোগে সিরাজদিখান প্রেসক্লাব থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় দরখাস্ত দেওয়া হয় (তারিখ: ১৩.০৭.২০১৬ সাল।
এ উপজেলার সাধারণ মানুষ অতিষ্ট ও সাংবাদিকরা তার প্রতি সংক্ষুব্ধ।
এলাকাবাসী অনেকে জানান, রোমান যুবকদের নিয়ে মাদকদ্রব্যের আড্ডা বসায়। এতে উঠতি বয়সের যুবকেরা বিপথগামী হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় চুরি থেকে শুরু করে এমন কোনো ছেছরামী নাই যা সে করেনি। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তাকে বহুবার মারধর করেছে। কোন কিছুতেই তাকে অপকর্ম থেকে থামানো যাচ্ছে না। তাই তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিৎ। প্রশাসন একটু নজর দিলেই হয়তো সে ঠিক হতে পারে।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা বলেন, রোমান হাওলাদারের চরিত্র এতো নিকৃষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তার বাবা-মা ও তাকে শ্বাসন করতে পারে না। তাকে দ্রুত মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা দরকার।
এ বিষয়ে রোমান হাওলাদারের মুঠোফোন বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এ বিষয়ে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।