আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান কেবল এক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
রোববার (১৩ মার্চ) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে মানবপাচার সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো এবং তা অনুশীলনে উদ্ভূত সমস্যা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিন দিনব্যাপী এই কর্মশালায় মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২২ জন বিচারক অংশ নেন। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, মানবপাচারকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এই অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে এর অধীনে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মানবপাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছে। পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ – ২০২২ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাও ওই আইন বাস্তবায়নে কাজ করছে। এর সুফল জনগণ এরই মধ্যে পেতে শুরু করেছে।
মানবপাচারকে একটি ভয়ানক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিচারক মিশেল ব্রুয়ার এবং বিচারক হিনা রাই, ইউএনওডিসির মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান শাখার গ্লো-অ্যাক্ট পলিসি প্রধান সামান্থা মুনোদাওয়াফা, গ্লো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান বক্তৃতা করেন।