নিয়োগের নামে বাণিজ্য, পরিকল্পিত দুর্নীতি, পানি না দিয়ে বিল আদায়, সেবার নামে ময়লা ও পোকামাকড় যুক্ত অনিরাপদ পানি সরবরাহ, ক্ষমতার দাপটে একই পদে আট আট বার নিয়োগ ছিনিয়ে নেওয়া এবং লাভে থাকা সত্ত্বেও আরেক দফা পানির দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা—চসাস। সোমবার (৬ মে) সকালে চসাসের সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান এহতেসাম এর সঞ্চালনায় চট্টগ্রাম ওয়াসা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা ওয়াসার এমডিকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, চট্টগ্রামে প্রতি বছর পানির দাম বাড়ানো হলেও বাড়েনি সেবার মান। তীব্র গরমে পানির চাহিদা জোগান দিতে ব্যর্থ সেবাদানকারী সংস্থা চট্টগ্রাম ওয়াসা। বর্তমানে যে পানি পাওয়া যাচ্ছে, তাও লবণাক্ত, দুর্গন্ধের কারণে তা দিয়ে করা যায় না কিছুই। আবার কোথাও—কোথাও ওয়াসার লাইনের পানিতে কিলবিল করছে পোকা। এমন বাস্তবতায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে সাত দিনের মধ্যে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে পদত্যাগ না করলে আগামী সোমবার ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এবং মঙ্গলবার নগরীর প্রতিটি থানা এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান এমডি ৮২ বছরের বৃদ্ধ। তার দ্বারা নতুনত্ব সম্ভব নয়। তারপরও তিনি কিভাবে এমডি পদে বহাল থাকে! মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলী নেওয়াজ, পলাশ কান্তি নাথ, আরঙ্গজেব খান স¤্রাট, আলী আকবর, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, এয়াকুব চৌধুরী, সংগঠক প্রণবরাজ বড়ুয়া, ফিরোজ উদ্দিন, শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, কবি সজল দাশ, রাফিকা, নাজিম উদ্দিন, ছেনোয়ার বেগম, তুষার, ইঞ্জিনিয়ার সিঞ্চন ভৌমিক, আনোয়ার পাশা, জাহেদুল ইসলাম, নিপা আক্তার, আবদুল মোমিন (সুমন), আবদুল কাদের, নীল কমল সুশীল, সৈয়দ নুর রাসেল, শাহিন চোধুরী, হারুন অর রশিদ, নিজাম উদ্দিন, আতিকুর গোলদার, তাজুল ইসলাম, মোঃ জিয়া, মোঃ শওকত, জাহাঙ্গীর আলম, হারুন প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে আকবরশাহ এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম ওয়াসার নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।