আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলকে ইতিবাচক মনে হয়েছে, তাদের কথাবার্তা পজিটিভ মনে হয়, বায়াস মনে হয়নি।
আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন দল যা বলেছে, আমরা জবাবে তাদের জানিয়েছি। আইনের ভুল ব্যাংখ্যা ও তথ্যের সঠিকতা নিয়েও জানিয়েছি। এমন এমন গুজব তারা ছড়িয়েছে, তার জবাব তো আমাদের দিতেই হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা এখানে মধ্যস্থতা করতে আসেনি। একটা অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন চায়, আমরা বলেছি, এটা আমরাও করতে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ মূল্যায়নের জন্য এসেছে। অন্যান্যদের মতো আমাদের সঙ্গে বসেছে। নির্বাচন নিয়ে আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা বলেছি। ৮২টি সংস্কার শেখ হাসিনার সরকার করেছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার জানিয়েছি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মারিয়া চিন বিনতে আব্দুল্লাহ।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি ঢাকায় পৌছায়। রোববার (৮ অক্টোবর) থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।
সফরের তৃতীয় দিন সোমবার সকালে বিএনপির সঙ্গে, এরপর আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে তারা।
গত শনিবার বিকেলে এবং রাতে দুই ভাগে প্রতিনিধি দলের সদস্যর ঢাকায় এসে পৌঁছান। প্রতিনিধি দলে সাতজন সদস্য রয়েছেন। প্রতিনিধি দলটি ৭ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের জন্য এনডিআই-এর নীতিমালার ঘোষণা অনুযায়ী স্বাধীনভাবে এবং নিরপেক্ষভাবে এ যৌথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন (পিইএএম) পরিচালনা করবে। প্রতিনিধি দলটি এক সপ্তাহ ঢাকায় অবস্থানকালে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, সরকারি সংস্থা, বিদেশি কূটনীতিক, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবে।