যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরগুলোতে এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যর দেশ কাতার। এ অর্থের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে দেশটি। অর্থ সংস্থান সূত্রগুলো জানিয়েছে, এর মাধ্যমে উপসাগরীয় দেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের ইতিবাচক সম্পর্কের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। দ্য বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এমন মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিমা সূত্র জানায়, দোহা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। কিন্তু কাতারের সার্বভৌম বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও কাতার সরকারি যোগাযোগ কার্যালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মেরিটাইম সিকিউরিটি, বাণিজ্য ও অবকাঠামোসহ প্রকল্পগুলোর ওপর মার্কিন ভিত্তিক উপদেষ্টা মাইকেল ফ্রডল বলেন, কাতার মার্কিন বন্দরগুলোতে বিনিয়োগের জন্য প্রায় এক বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সূত্র জানিয়েছে, বিনিয়োগগুলো ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে করবে কাতার। যা বন্দরের সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হবে। এরই মধ্যে কাতার একটি কাঠামোগত উপদেষ্টার সন্ধানে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছে।
চলতি বছরের নভেম্বরে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এক দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্যাকেজের অনুমোদন দেয়। এরমধ্যে বন্দর নির্দিষ্ট কর্মসূচির জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। দেশটির বন্দর ও শিল্প সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন কোস্ট গার্ডের তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩৬০টি বন্দর রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সূত্র জানিয়েছে, কাতার যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বন্দরে বিনিয়োগ করবে। একটি চতুর্থ অর্থ উত্স পৃথকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কাতারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে।
ছোট তবে ধনী উপসাগরীয় দেশ কাতার তালেবান ইস্যুতে মধ্যস্থতা করেছে। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সম্পর্ক ইতিবাচক হয়। তাছাড়া আফগানিস্তানে মার্কিন কূটনৈতিক স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ওয়াশিংটন ও দোহার মধ্যে নভেম্বরে একটি চুক্তি সই হয়।