1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন

মার্চেই শেষ হবে সায়েদাবাদে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ: মেয়র তাপস

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০২২

সায়েদাবাদে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রতি বুধবার আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শনে বের হই। আজও (১০ আগস্ট) আমরা সে ধারাবাহিকতায় সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে এসেছি। আপনারা জানেন, বাস রুট কার্যক্রম রেশনিংয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি।   একটির যাত্রাপথ শুরু হয়েছে, আরও দুটির কার্যক্রম আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করব। এসব কার্যক্রম বেগবান করার জন্য সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন নিজ অর্থায়নে শুরু করেছি। ৩০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেক পুরানো সায়দাবাদ টার্মিনালের দীর্ঘ দিনেও কোনো সংস্কার করা হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামো ভঙ্গুর ও খারাপ অবস্থায় ছিল। এজন্য বাস রুট রেশনালাইজেশনের মাধ্যমে ঢাকা শহরের গণপরিবহন যেন শৃঙ্খলাবদ্ধ করা যায় সেজন্য আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। সংস্কার কাজ দ্রুত চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী মার্চের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।

তাপস বলেন, আলাদাভাবে বাস রাখার ব্যবস্থা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, সাধারণ মানুষের জন্য শৌচাগার এবং যাত্রীরা যেন টার্মিনালের ভেতরে ঢুকে সেবা নিতে পারে, আমরা এসব চিন্তা করে পুরো সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল সংস্কারের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করি এই টার্মিনাল আধুনিকায়ন শেষ হলে ঢাকা শহরের গণপরিবহণ শৃঙ্খলায় চলে আসবে।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আপনারা আরও জানেন, আমরা এরই মধ্যে আরও দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে ও অপরটি কেরানীগঞ্জে। সে দুটির মধ্যে একটির জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সে জমির হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটির জমি অধিগ্রহণের জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এই দুটি টার্মিনাল নির্মাণ হতে আরও তিন-চার বছর লেগে যাবে। এর মাঝে আন্তঃজেলার বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্য নিজ অর্থায়নে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আধুনিকায়নের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আদি বুড়িগঙ্গার কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। আমরা নিজ অর্থায়নে এ কার্যক্রম শুরু করেছি।

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা সরু হয়ে গেছে সেটা ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, এই রাস্তা প্রসস্ত করার কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। এখানে আপনারা দেখেছেন ফ্লাইওভার থেকে নেমে কিছু দূর গিয়ে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। সে রাস্তা প্রসস্ত করে বাস যাতে টার্মিনালে আসতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এই টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে ওঠার রাস্তা রয়েছে, কিন্তু সেটা কার্যকর না। সেটা যেন কার্যকর হয় সেজন্য আমরা নতুন ভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা এই বাস টার্মিনালটাকে আধুনিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন তা করছি। যাতে যাত্রীদের রাস্তার ওপর কোনো ভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকে। একই সঙ্গে যাত্রীরা যাতে আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে সেবা পায় এবং ভেতরে এসে বাসে উঠতে পারে। সেখানে যতো রকমের সুবিধা যেমন বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া, গণশৌচাগার -এসব সুযোগ সুবিধা আমরা নিশ্চিত করব। এছাড়া আমরা এখানে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাই। একটা হচ্ছে- যে বাস এখানে দুই ঘণ্টা বিশ্রাম করতে চায় তাদের জন্য আমরা ডিপোর ব্যবস্থা রাখছি। আর যে বাসটা যাত্রী নামিয়ে আবার আধ ঘন্টার মধ্যে টার্মিনাল ত্যাগ করতে চায় সেজন্য স্বংক্রিয় আধুনিক ব্যবস্থা আমরা এখানে কার্যকর করছি৷

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি