দারুণ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে দেড়শর নিচেই থামিয়ে দিল ইংল্যান্ড। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়েও দক্ষতা দেখিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
দাভিদ মালানের পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের পর হ্যারি ব্রুকের অপরাজিত ইনিংসে সহজেই জয় তুলে নেয় তারা।
গতকাল রাতে চেস্টার-লি-স্ট্রিটে ৭ উইকেটের জয় পায় জস বাটলারের দল। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ৩৬ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
আগে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ফিন অ্যালেন প্রথম ওভারেই তিন ছক্কা মেরে উড়ন্ত সূচনা করেন। কিন্তু সেটি টিকলো না বেশিক্ষণ। চতুর্থ ওভারেই ওপেনিং জুটি ভেঙে দেন মার্ক উড। কনওয়ে বিদায় নেন ৩ রানে। অ্যালেনও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২১ রানে তিনি উইকেট হারান। ষষ্ঠ ওভারে টিম সাইফার্ট বিদায় নেন বোল্ড হয়ে।
মাঝে কিছুক্ষণ লড়াই করেন গ্লেন ফিলিপস। তিনি করেন ৪১ রান। তাকে সঙ্গ দিতে গিয়ে দ্রুত ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যান, ড্যারিল মিচেল ও মিচেল স্যান্টনার। শেষদিকে অ্যাডাম মিল্ন, ইশ সোধি, সাউদিদের ছোট ছোট অবদানে ১৩৯ রান পর্যন্ত যায় নিউজিল্যান্ড।
ইংলিশদের হয়ে অভিষেকে আলো ছড়ানো ব্রাইডন কার্স। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেওয়া এই পেসারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ৩৭ রানে তিন উইকেট নেন লুক উড।
রান তাড়ায় খেলতে নেমে দ্বিতীয় বলেই জনি বেয়ারস্ট্রো ফেরেন ৪ রান করে। ২২ রান যোগ করেন উইল জ্যাকস। এরপর দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান মালান ও হ্যারি ব্রুক। দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৪২ বলে মালান করেন ৫৪ রান। আর হ্যারি ব্রুক ২৭ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৩ রানের জড়ো ইনিংস। শেষদিকে লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে তিন ওভারে ২৫ রান খরচায় এক উইকেট পান টিম সাউদি। এই উইকেটেই সাকিব আল হাসানকে (১৪০) পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার চূড়ায় উঠলেন তিনি (১৪১)।