এমপি এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘এর আগেও অনেকবার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছি। এতদিন আমার কষ্ট লাগেনি। তবে এখন কষ্ট লাগে। কয়েক দিন আগে আমার বাবা, মা ও বড় ভাইসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে শ্মশানের মাটি ফেলা হয়েছে। আমি রাগলে রাস্তায় তার প্রভাব পড়ে। এখনো ডাকলে দুই-চার লাখ লোক আসে। মৃত্যুর আগে বাবা শেখ হাসিনার হাতে আমাদের হাত তুলে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ওরা মারা গেলেও কোনো আফসোস থাকবে না।’
গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নে এ কে এম শামসুজ্জোহার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমার মেজ ভাই ক্লাস নাইনে থাকতে মুক্তিযুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন। বড় ভাইও ছিলেন। আগে মানুষ বলত ওই বাড়ি রাজনীতি করে, তারা সততার প্রতীক।’ তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর আমার মা তাকে গিফট করা হীরামহলও বন্ধক রেখেছিলেন। বাস্তবতা হলো- সেদিন যা দেখেছি আগামীতে দেখব জানি। সেদিন কোনো ধনী লোক এগিয়ে আসেননি। আদমজী মিলের শ্রমিকরা ১ টাকা করে চাঁদা দিয়ে ওই হীরামহল ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বাবা বলেছিলেন বাড়িটা এখন আর আমার না। তোমরা শ্রমিকের বাড়িতে বড় হচ্ছ। তাই তাদের জন্য কথা বলি। সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে গিয়ে বলেছিলাম, আমি আর কিছু চাই না। তখন তিনি বললেন, ‘তোমার বাবা আমাদের জন্য রক্ত দিয়েছেন। তিনি আমারও চাচা।’ তিনি কী পরিমাণ আল্লাহওয়ালা মানুষ তা আমি দেখেছি। আমাদের জীবনের ভরসা নেই। তাই সবার জন্য সবাই মাফ চাই। যারা চলে গেছেন আমি তাদের সবার জন্য দোয়া করছি। আপনারা আমার বাবা, মা ও বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহকে খুশি করে যেন মরতে পারি।