ঘুষ লেনদেনের মামলায় পৃথক দুটি ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে মোট আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে ৮০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। ঘুষ লেনদেনসহ আলাদা তিনটি আইনে বরখাস্তকৃত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজান ও দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
এর আগে ২৪শে জানুয়ারি একই আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে দুদক। যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
মিজান ও বাছিরের রায় ঘোষণার পর ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। সেটির শুনানি হলেও তাৎক্ষনিকভাবে কোনো রায় দেননি বিচারক।
আদালতে আসামি পক্ষের হয়ে শুনানি করেন এহসানুল হক সমাজী ও আবুল হাসেম ভূঁইয়া। আর তাদের বিপক্ষে ডিভিশন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
প্রসঙ্গত, ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ১৮ মার্চ মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১৯ আগস্ট মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।