সোমবার রাতে রেকর্ড সপ্তম ব্যালন ডি অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। এ রাতটি ঠিক বিপরীত ছিল মেসির চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য। ২০১০ সালের পর আবার ব্যালন ডি অর র্যাংকিংয়ে সেরা পাঁচের বাইরে ছিটকে গেছেন পর্তুগিজ তারকা, হয়েছেন ষষ্ঠ।
শুধু ব্যালন ডি অর পুরস্কারে পিছিয়ে পড়াই নয়, গত কয়েকদিন ধরে একটি খবর ঘিরে আলোচনায় রয়েছেন রোনালদো। যেখানে ফ্রান্স ফুটবলের সম্পাদক প্যাসকেল ফেরে বলেছিলেন, রোনালদোর ক্যারিয়ারের একমাত্র লক্ষ্য হলো, অবসরের আগে মেসির চেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর জেতা।
ফেরে দাবি করেছিলেন, রোনালদো নিজেই তার কাছে এই কথা বলেছেন। যেহেতু ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকেই দেওয়া হয় ব্যালন ডি অর পুরস্কার, তাই সবাই ফেরের এই মন্তব্যকে সত্যই ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু রোনালদো জানালেন, পুরোপুরি মিথ্যাচার করেছেন ফেরে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিশদ বার্তায় ফেরের মন্তব্যের বিপরীতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন রোনালদো। যেখানে জানিয়েছেন, তার ক্যারিয়ারের বড় লক্ষ্য হলো জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে যত বেশি সম্ভব শিরোপা জয়।
রোনালদোর সেই বার্তার অনুবাদ জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘আজকের এই লেখায় আমি প্যাসকেল ফেরের গত সপ্তাহে দেওয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা করবো। যেখানে তিনি বলেছেন, ক্যারিয়ার শেষ করার আগে আমার একমাত্র লক্ষ্য হলো লিওনেল মেসির চেয়ে বেশি গোল্ডেন বল জেতা।’
‘নিজের নাম ও যেখানে কাজ করে সেখানের প্রচারণার জন্য প্যাসকেল ফেরে মিথ্যা বলেছে। এই ধরনের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার (ব্যালন ডি অর) দেওয়ার পেছনে যার অবদান রয়েছে, তার কাছ থেকে এমন মিথ্যাচার অগ্রহণযোগ্য। যে (রোনালদো) সর্বদা ফ্রান্স ফুটবল এবং ব্যালন ডি’অরকে সম্মান করেছে, তার প্রতি পুরোপুরি অসম্মান।’
‘এমনকি তিনি আজকেও (সোমবার) মিথ্যা বলেছেন। ব্যালন ডি অর অনুষ্ঠানে আমার অনুপস্থিতির পেছনে কোয়ারেন্টাইনের কথা বলেছেন। যার কোনো অস্তিত্বই নেই।’
‘আমি সবসময় জয়ীদের অভিনন্দন জানাই। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই স্পোর্টসম্যানশিপ ও ফেয়ার প্লে’র মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠেছি আমি। কখনও কারও বিপক্ষে নই আমি। আমি সবসময় নিজের জন্য এবং নিজের ক্লাবের জন্য জিতি। আমি আমার জন্য জিতি, আমাকে যারা ভালোবাসে তাদের জন্য জিতি। আমি কখনও কারও বিপক্ষে জিতি না।’
‘আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতা আমার ক্লাব এবং দেশের জাতীয় দলের জন্য। আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো যারা পেশাদার ফুটবলার হতে চায় তাদের জন্য ভালো একটা উদাহরণ তৈরি করে যাওয়া। আমার সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হলো ফুটবল ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখে যাওয়া।’
‘আমি এটি বলে শেষ করছি যে, আমার সকল মনোযোগ এখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পরবর্তী ম্যাচের দিকে। আমার কাছে এটিই সবকিছু। আমার সতীর্থ ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে চলতি মৌসুমে আমরা এখনও অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। আর বাকি সব? বাকি সব বাকি সবের মতোই থাকুক।’