বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘আটক’ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসা ঘেরাও করে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। একইসঙ্গে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ঘিরে রাখা হয়েছে। কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
এর আগে, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করে বিএনপির। তবে, তার আগেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। কিন্তু সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং এক পর্যায়ে সমাবেশের কাছে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির সমাবেশের মাইকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এরপর রাতেই জনসাধারণের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।