মানহানিকর মন্তব্যের কারণে মিষ্টি জান্নাতের ওপর চটেছিলেন তমা মির্জা। রেগেমেগে দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আইনি নোটিশ। তাতে বলা হয়েছিল, জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে মিষ্টিকে।
ওদিকে আরেক কাঠি সরেস মিষ্টি জান্নাত। কম যাননি তিনিও। নিজেকে সেরের ওপর সোয়া সের প্রমাণ করতে তমার নামে ঠুকে দেন ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা। দুই নায়িকার এই যুদ্ধংদেহী অবস্থানে সামাজিক মাধ্যম যখন রীতিমতো উত্তপ্ত তখন লাগাম টানল শিল্পী সমিতি। জানা গেছে সমিতির উদ্যোগে সমঝোতা হয়েছে এ দুই নায়িকার।
এ প্রসঙ্গে তমা বলেন, ‘মিষ্টি আমার ছোট বোন, তার ভুল আমি ক্ষমা করেছি। আমরা একে অপরের উপর নির্ভরশীল তাই আমরা আমাদের প্রিয় সংগঠন শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে বসে আমাদের দুইজনের সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান করেছি।’
মিষ্টি জান্নাতও মিষ্টি করে বলেন, ‘তমা আপু আমার বড় আপু, আমাদের মধ্যে কিছুটা ভুল ভ্রান্তি হয়েছিল। সেই বিষয়ে আমিও ক্ষমাপ্রার্থী। আমাদের অভিভাবকদের সাথে নিয়ে সমঝোতা করলাম।’
মিষ্টির ঠিকানায় তমা আইনি নোটিশ পাঠান ২২ মে। নোটিশে সামাজিক মাধ্যমে থাকা দুটি ভিডিও বক্তব্যের কথা উল্লেখ করা হয়। ‘আপনার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করব না, তমা মির্জাকে খোঁচা দিয়ে মিষ্টি জান্নাত’ এবং ‘চেটে চেটে নায়িকা হয়েছে তমা মীর্জা:জান্নাত’ শীর্ষক শিরোনামে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মানহানিকর বক্তব্য রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়েছিল, এ সব বক্তব্যে সাংবাদিক ও দেশের জনগণের কাছে তার (তমা মির্জার) সুনাম নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের বক্তব্য তমার চরিত্র ও ব্যক্তিত্বে আঘাত হেনেছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে ডিজিটাল মিডিয়ায় এসব মানহানিকর বক্তব্য হয়রানির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। এতে ১০ কোটি টাকার মানহানি হয়েছে।
এরপর গতকাল ২৭ মে তমার ঠিকানায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠান মিষ্টি জান্নাত। সেখানে বলা হয়, তমা মির্জা মিষ্টির নামে অসত্য অভিযোগ এনে নোটিশ পাঠিয়েছেন। এটা তুলে নেওয়া ও ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ কোটি টাকা না দিলে তমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা (মামলা) নেবেন মিষ্টি।
অবশেষে অভিভাবকের ভূমিকায় শিল্পী সমিতি। সমস্ত দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে মিলিয়ে দিল দুই নায়িকাকে।