বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেকে ঠিক মেলে ধরতে পারেননি মোহাম্মদ সালাহ। যার প্রভাব পড়েছে মিশর দলে। দলটি এবার খেলতে পারবে না কাতার বিশ্বকাপে। মূলত এরপর থেকেই তারকা এ ফুটবলারের আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মিশরের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের প্রকাশিত এক ভিডিওতে সালাহ বলেছেন, ‘আমার দলে থাকা বা না থাকায় কিইবা আসে যায়’। যদিও জাতীয় দল নিয়ে নিজের গর্ববোধের কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেনেগালের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় ফারাওরা। ফলে বঞ্চিত হয় কাতার বিশ্বকাপে অংশগ্রহন থেকে। ভিডিওতে দেখা যায়, পরাজিত হওয়ার পর লকার রুমে সালাহ তার সতীর্থদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘গতকাল (ম্যাচের আগে) আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম এই দলটির সঙ্গে খেলতে পেরে আমি গর্ববোধ করি। তারাও আমার সঙ্গে সোরাটাই খেলেছে। এর বেশী কিছু বলার নেই। তবে আমি এখানে থাকি বা না থাকি, আপনাদের সঙ্গে খেলার সময় সম্মানবোধ করি।’
সালাহর ওই মন্তব্যের বিশ্লেষণ করলে এটি দাঁড়ায়, তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অসরের ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
মিশরের জার্সিতে ২০১১ সালে পথচলা শুরু করেছিলেন সালাহ। ক্যারিয়ারে তার সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৭ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কঙ্গোর বিপক্ষে শেষ মুহুর্তে গোল করে মিশরকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে পৌঁছে দেয়া।
মঙ্গলবার সেনেগালের বিপক্ষে টাইব্রেকারে সালাহ’র নেয়া শটের বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ফলে দুই মাসের মধ্যে সেনেগালের কাছে দুইবার পরাজিত হতে হয় মিশরকে। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে ফারাওদের হারিয়ে শিরোপা জয় করেছিল তেরেঙ্গার লায়ন্সরা। ওই ম্যাচেও জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়েছিল টাইব্রেকারে।