চলমান ডামাডোলের মধ্যে পরবর্তী সেনাপ্রধানের নাম প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। মিন অন হ্লাইংয়ের পর নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন কিয়াউ স্বার লিন। মিয়ানমারবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।
সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মিয়ানমারের রাজনীতির ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ বহু যুগ ধরেই। ৪৫ বছর বয়সেই কিয়াউ স্বার লিন বর্তমান সেনাপ্রধানের ভরসার পাত্র হয়ে উঠেছেন। তার জীবনযাপন অন্যান্য সেনা কর্মকর্তাদের চেয়ে অনেক আলাদা। খুবই শান্তি ও চমকপ্রদ জীবনযাপন করেন কিয়াউ স্বার লিন। ৪৫ বছর বয়সেই তার ক্যারিয়ার চোখে পড়ার মতো।
দেশের সর্বকনিষ্ঠ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হওয়ার পরেও কিয়াউ স্বার লিন যুদ্ধ ও সংঘাতের দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। এখন পর্যন্ত তার কর্মজীবনে যুদ্ধে দায়িত্ব পালনের কোনও ইতিহাস নেই। যদিও কিছুসময় যুদ্ধবিষয়ক কার্যালয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এজন্য তার সহকর্মীরা তাকে মিয়ানমারের সবচেয়ে খ্যাতনামা দুই অভিনেতা নে টো এবং পি টি ও নামে আখ্যা দিয়েছিল।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল কিয়াউ স্বার লিন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত আর্মি চিফ অব স্টাফ এবং কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল এই দুই দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য ৫.৬ ট্রিলিয়ন স্থানীয় মুদ্রার বাজেট পরিচালনা করেছেন তিনি।
সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোয়ে মিন্ট চলতি বছরের শুরুতে দুর্নীতির অপরাধে গ্রেফতার হওয়ার পর কিয়াউ স্বার লিন আর্মি চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই ক্যারিয়ারে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকেন কিয়াউ স্বার লিন। তারপর শান রাজ্যের একজন কর্নেল ও কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। পরে যুদ্ধ কার্যালয়ে কমান্ডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর নিজে থেকেই নেপিদোতে চলে আসেন।
২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার যে গণহত্যা চালায় তাতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কিয়াউ স্বার লিন। এমনকি ওই ঘটনার পর তার পদোন্নতিও হয়েছিল।
এর আগে মিয়ানমারে সর্বকনিষ্ঠ লেফট্যানেন্ট কর্নেল হিসেবে মিন অন হ্লাইং সেনাপ্রধান হয়েছিলেন। এবার তার সঙ্গে আরও একটি নাম যুক্ত হলো।
এরই মধ্যে সেনা অভ্যুত্থানের দুই বছর পার করেছে মিয়ানমার। সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের মধ্যে চলছে দফা দফায় সংঘর্ষ।