মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তে ‘মহড়া’ শুরু করবে চীন। শনিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে বেইজিং। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশটিতে পণ্যবাহী ট্রাকের একটি কনভয়ে আগুনের ঘটনার একদিন পর এ ঘোষণা এলো।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ওই হামলার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করে। এর আগে সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল চীন। সীমান্তে স্থিতিশীলতার বিষয়ে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের রাজধানীতে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন চীনের পদস্থ কর্মকর্তারা।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির থিয়েটার কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ মহড়ায় সৈন্যদের দ্রুত চলাচল, সীমান্ত বন্ধ ও আগুনের ঘটনায় সাড়া দেয়ার সক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। তবে সংক্ষিপ্ত এ বিবৃতিতে মহড়ার সময় বা সৈন্য সংখ্যার কোনো বিবরণ নেই।
মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের আক্রমণ কয়েক দশক ধরে চলমান রয়েছে। তবে ২০২১ সালে সেনা অভ্যূত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রপন্থীদের ক্ষমতাচ্যুত করার পর তা নতুন মোড় নিয়েছে। সমন্বিত আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অনেক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।
জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমারের এ সংঘাতে ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
খবর রয়টার্স