সামরিক জান্তা এখন রাতের বেলা হওয়া এসব কর্মসূচির টুটি চেপে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে; ইয়াংগন, কাচিন, কাওথংসহ বেশ কয়েকটি শহর থেকে রাতের বেলায়ই প্রায় ২০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন পোস্টের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন দমনে সেনাবাহিনী ও পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ এবং হতাহতের ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এবং মিয়ানমারের অনেক প্রতিবেশীকেও একই সুরে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে।
মিয়ানমারের আন্দোলনকারীরা অবশ্য নিরাপত্তা বাহিনীর দমনপীড়ন উপেক্ষা করে প্রায় প্রতিদিনই রাস্তায় নামছেন। তাদের লক্ষ্য, দেশকে ফের গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটি এর আগেও প্রায় ৫ দশক সেনাশাসনে ছিল। ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের আগে মোটামুটি এক দশক দেশটিতে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল।
রয়টার্স জানিয়েছে,কিছু কিছু এলাকায় শনিবার রাত থেকে রোববার ভোরের আগ পর্যন্ত হওয়া কর্মসূচিতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদেরও মোমবাতি হাতে দেখা গেছে। ইয়াংগনে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত তৎপর হয়ে ওঠে ও তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
“তারা এখন আমাদের রাতের প্রতিবাদও দমনের চেষ্টা করছে। একের পর এক স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে,” লিখেছেন এক ফেইসবুক ব্যবহারকারী।
শনিবার রাতেই শহরটি থেকে ৮ জনকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন এক বাসিন্দা।এ বিষয়ে সামরিক জান্তার মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া না গেলেও তিনি এর আগে বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী তখনই বল প্রয়োগ করে যখন তা জরুরি হয়ে ওঠে।শনিবারও দেশটির বিভিন্ন এলাকায় জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স।এ নিয়ে দেশটিতে এবারের অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা ২৪৭ এ দাঁড়াল বলেও জানিয়েছে তারা।