গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ কমিটি গঠন করে এক আদেশ জারি করেছে।
আদেশের অনুলিপি ঢাকার কারা অধিদপ্তরের কারা মহাপরিদর্শক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর একান্ত সচিব ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের একান্ত সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের উপ-সচিব মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ গঠিত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে হাজতি বন্দির মৃত্যুর বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুন কান্তি শিকদারকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, ময়মনসিংহ কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগার সহকারী সার্জন ডা. কাসরুন নাহার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব আরিফ আহমেদ।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, হাজতি বন্দির মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার গাফলতি ছিল কি না? যদি থাকে, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে। বন্দির কারাগারে আসার পর তার কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিলেন কি না? যদি থাকেন সে বিষয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না? যদি না হয়ে থাকে, দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কমিটিকে চার কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ কর হলো।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বালাপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে লেখক মুশতাক আহামেদ হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা নীরিক্ষা করে রাতে মুশতাককে মৃত ঘোষণা করেন।