প্রথম ম্যাচেই জেগেছিল সম্ভাবনা। কিন্তু রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে নিজেই হারান সেই সুযোগ, থামতে হয় ৮৪ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেননি মুশফিকুর রহীম। দলের ঘোর বিপদের সময় অসাধারণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। মাত্র ১৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর উইকেটে এসে, ইনিংসের ৪৫ ওভারে গিয়ে নিয়েছেন নিজের শততম রান। দুশমন্ত চামিরার বলে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে দুই দফায় অপেক্ষার পর ১১৪ বল খেলে ৬ চারের মারে জাদুকরী ফিগারটি স্পর্শ করেছেন মুশফিক। একই ইনিংসের মাধ্যমে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিব আল হাসানকে পেছনে ঠেলে দুইয়ে উঠে গেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পরপর সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দলের সংগ্রহ তখন মাত্র ১৫ রান। খানিক পর সাজঘরে ফিরে যান লিটন কুমার দাস ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৮৭ রান যোগ করেন মুশফিক। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি। সেটিকেই পরে রূপ দেন সেঞ্চুরিতে। বৃষ্টির কারণে দুই দফায় খেলা বন্ধ হয়েছিল। প্রথমবার ২৫ মিনিট ও পরেরবার খেলা বন্ধ থাকে ৩৫ মিনিট। প্রকৃতির বাগড়া জয় করে ইনিংসের ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই তিন অঙ্কে পৌছান মুশফিক।