বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মেগা প্রজেক্টে আরও বেশি মেগা লুটপাট হচ্ছে। দেশে চরম দুর্নীতি হচ্ছে। এমন একটি জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি নেই। একটা লুটপাটের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই লুটপাট।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, মেগা প্রজেক্টে আরও বেশি মেগা লুটপাট। আজ প্রশাসনে লোক নেওয়া হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে। যেখানে চাকরির জন্য যাবেন, সেখানেই সব করা হচ্ছে দলীয়করণের ভিত্তিতে। এভাবে পুরো প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হচ্ছে।
বর্তমান সময়কে সবচেয়ে খারাপ সময় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সময়টা সবচেয়ে খারাপ সময়। ৫০ বছরে এই সময়ের মতো এতো খারাপ অবস্থা আর কখনো দেখিনি। গোটা জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, যা আগে কখনো দেখিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ১৯৯১ সালে একটি গণ-আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন সেই নেত্রীকে আজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপমান করলেন প্রায় ৩ বছরের মত সময়। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করছে, বিদেশে পাচার করছে। তাদের কিছু হয় না, আমাদের নেত্রীর নামে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকেই দুর্নীতি হচ্ছে। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের নামটা বদলে নাম রাখা হোক নিখিল বাংলাদেশ লুটপাট সমিতি। করোনা মহামারির সময় স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে টিকা যোগাড় করতে পারেনি সরকার। স্বাস্থ্যব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের যা কিছু অর্থনৈতিক অবস্থা আছে সবকিছুই তারা ধ্বংস করেছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে শুধু আমাদের জন্য নয়, বিএনপির জন্য নয়, আজকে যদি দেশকে বাঁচাতে হয়, জনগণকে যদি তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হয়, বাঁচার অধিকার, কাজের অধিকার যদি ফিরিয়ে দিতে হয় তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জোট বাঁধতে হবে এবং আমাদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য আরও শক্তিশালী করতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।