বহু প্রতীক্ষিত মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের হলঘরের ছাদ, প্ল্যাটফর্মের ছাদ, ইস্পাতের ছাদ ও আইকনিক স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এটি মেট্রোরেল হিসেবে অধিক পরিচিত।
নির্মাণপ্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই সার্ভিস ট্রান্সফার, চেক বোরিং, টেস্ট পাইল, মেইন পাইল, পাইল ক্যাপ, আই-গ্রিডার, প্রিকাস্ট সেগমেন্ট কাস্টিং ও সব স্টেশনের জন্য সাব-স্ট্রাকচার নির্মাণ শেষ করেছি।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, কনকার্স রুফ, প্ল্যাটফর্ম রুফ, স্টিল রুফ স্ট্রাকচার, আইকনিক স্টেশন স্থাপনসহ সব স্টেশনের জন্য কনকার্স রুফ ও রুফ স্টিলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, ‘একটি স্বপ্নের গণপরিবহন মেট্রোরেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ গতিতে নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে সক্ষম হব।’
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা সেক্টর-৩ ও মতিঝিলের মধ্যে এ এলিভেটেড রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এটি কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত মোট ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে, যা এখন ৭৮ দশমিক ৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে উত্তরা ও আগারগাঁওয়ের মধ্যবর্তী রেললাইনের ৯২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
পাশাপাশি আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ১৯ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। নয়টি স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ছয়টি স্টেশনের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথের নির্মাণকাজ চলছে।
যাত্রীদের উন্নততর সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এমআরটি-৬-এর প্রতিটি স্টেশনের উভয় পাশে এলিভেটর, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি থাকবে।
এ পরিবহন ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। এ ছাড়া এতে প্রায় দুই ঘণ্টার যাত্রা সময় কমিয়ে মাত্র ৪০ মিনিটেই উত্তরা থেকে মতিঝিলে যাওয়া যাবে।
এমআরটি লাইন সম্পন্ন হয়ে গেলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এই মেট্রোরেল নির্মাণ করছে। তারা এ প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ দিয়েছে।
খবর বাসস