গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ইদিলপুর ইউনিয়নের মেধাবী ছাত্র গোবিন্দ চন্দ্রের মেডিকেল কলেজে ভর্তি-অর্থের অভাবে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গোবিন্দ চন্দ্র সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
গোবিন্দ চন্দ্র ইদিলপুর ইউনিয়নের রুপনাথপুর গ্রামের,জেলে শ্রী কমল চন্দ্রের ছেলে।কমল চন্দ্র বলেন দাদা ছেলে মেডিকেল ভর্তি সুযোগ পেয়েছে ঠিকই গরীবের জন্য সব সময় সব সুযোগ কাজে লাগেনা। ছেলেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করবো কি করে সে সামর্থ্য আমার আছে। একদিন মাছ বিক্রি না করলে পেটে ভাত যায়না এত টাকা আমি কোথায় পাবো। তাই মেধাবী শিক্ষার্থী গোবিন্দ চন্দ্রের মেডিকেলে ভর্তির জন্য আর্থিক সহযোগিতা জরুরি। তার পরিবারের ভাষ্য সমাজের দানশীল ও বিত্তবান শ্রেণীর মানুষ যদি সহযোগিতা করতো তাহলে হয়তো ছেলের স্বপ্ন পুরুন হবে। তার পরিবারের পক্ষে ব্যয়ভার বহন করা কষ্ট সাধ্য।
দরিদ্রদের কষাঘাতে জর্জরিত জেলে কমল চন্দ্রের জীর্ণ কুটিরে জন্ম নেয়া গোবিন্দ চন্দ্র এলাকায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত।
সে মাদারহাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি জিপিএ- ৫ পেয়ে পাশ করে।সে নিজে টিউশনি করে কখনও অন্যের জমিতে কাজ করে এপর্যন্ত লেখাপড়া করে এসেছে। এ বছর সে বাবা মাকে না জানিয়ে বুকের ভিতরে লুকায়িত স্বপ্ন পুরুণে আশায় মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করে। তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য সুপারিশ করে। ভর্তির আর মাত্র কয়েক দিন বাকী থাকলেও ভর্তি ও আনুষঙ্গিক খরচের টাকা জোগাড় করতে পারেনি তার পরিবার।কমল চন্দ্রের তিন ছেলে মেয়ের মধ্যে রড় সম্তান গোবিন্দ চন্দ্র। সামান্য পুজিতে পলাশবাড়ী থেকে মাছ ক্রয় করে গ্রামের ছোট্ট বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চলে । এ পর তিন সন্তানের লেখা পড়ার খরচ বহন করা তার পক্ষে অনেকটা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
পিতা কমল অনেকটা অভিমান করে বলেন। আমরা ছেলেকে মেডিকেল কলেজ কি ভাবে পড়াবো এত খরচ কোথায় পাবো। ছিড়ে কাঁথায় শুয়ে লক্ষ টাকার স্বপ্ন।
মেডিকেল কলেজ ছেলেকে পড়ানো সাধ থাকলেও তা তার সাধ্যের বাহিরে।