স্থানীয় প্রতিনিধিঃ সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত, কিংবা পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে আসা ও অর্থনৈতিক সাফল্যের সংগ্রামী গল্প এবং সমাজের বিভিন্নস্তরে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় দেশব্যাপী শুর“ হয় “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” নামক সম্মাননা কার্যক্রম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের
পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এই কার্যক্রমে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় সামাজিক পরিমন্ডলে অবদান রাখা শ্রেষ্ঠ নারীদের কর্মময় নিষ্ঠা ও সামাজিক অবদানের ঘটনা উঠে এসেছে। তাদের অবদান সমাজকে যেমন দিয়েছে প্রগতি ও অগ্রগতি তেমনী নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেকেই ছিলেন সংগ্রামী। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সমৃদ্ধি ও অগ্রগতিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে সমাজে অবদান রাখায় পাঁচ নারী পেয়েছেন রাষ্ট্রীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের নারী ক্যাটাগরি অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতারা হলেন, সদর উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের কন্যা সামসুন নাহার, একই উপজেলার ধন্দোগাঁও গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিক মৃত কার্তিক চন্দ্র রায়ের কন্যা পিঙ্গলা রাণী, ও আলজি পস্তমপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কন্যা পপি বেগম, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের মরহুম আব্দুস সবুর এর স্ত্রী মনছুরা বেগম, এবং উপজেলার মন্দিরপাড়া গ্রামের সংখ্যালঘু হিন্দু নাগরিক পদ্ম এর স্ত্রী জয়ন্তী। “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” এই কার্যক্রমের মাধ্যমে পাওয়া উপজেলাভিত্তিক রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি অর্জনকারী পাঁচ নারী আলাদা আলাদা পেশায় নিয়োজিত থাকলেও প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মদক্ষতা ও মেধার সমন্বয়ে সমাজে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যতে তাদের কর্মকান্ড আধুনিক ঠাকুরগাঁও জেলা গঠনের পাশাপাশি প্রগতিশীল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে বলে আশাব্যাক্ত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনীপেশার সাধারণ মানুষ। সেই সাথে সচেতন মানব স¤পদ তৈরীতে সফল এই নারীরা শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা স্বীকৃতির মাধ্যমে আরো উৎসাহিত
হবেন বলে আশা ব্যাক্ত করেন ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।