জুন মাস যত এগিয়ে আসছে, মেসির দলবদল নিয়ে আলোচনার পালে বাতাসটাও ততই বেশি করে লাগছে। বার্সেলোনার সঙ্গে আর্জেন্টাইন তারকার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের জুনে। কিন্তু নতুন চুক্তি নিয়ে এখনো কোনো ধরনের আলোচনায় বসেননি তিনি। অনেকেরই ধারণা, বার্সেলোনায় এটাই তাঁর শেষ মৌসুম।
নতুন চুক্তি না করলে জুন মাসের পরই ফ্রি এজেন্ট হয়ে যাবেন মেসি। যেকোনো ক্লাবই তখন তাঁকে ট্রান্সফার ফি ছাড়াই দলে ভেড়াতে পারবে। সময়ের অন্যতম সেরা তারকাকে পেতে কোনো ট্রান্সফার ফি লাগবে না—সুযোগটা নিতে চাইবে ইউরোপের বড় বড় ক্লাব। কিন্তু ট্রান্সফার ফি না লাগুক, মেসির মতো একজন ফুটবলারকে পেতে বড় অঙ্কের বেতন যে দিতে হবে, সেটা কারও অজানা নয়।
কেমন হতে পারে মেসির বেতন? এমন একটা ধারণা পাওয়া যাবে বার্সেলোনায় তাঁর সর্বশেষ চুক্তির নথির হিসাব–নিকাশ থেকে। সেই হিসাব সম্প্রতি দিয়েছে স্পেনের সংবাদপত্র এল মুন্দো। মেসি বার্সেলোনার সঙ্গে সর্বশেষ চুক্তিটি করেছিলেন ২০১৭ সালে। চার বছরের সেই চুক্তি অনুযায়ী মেসি সব মিলিয়ে পাচ্ছেন ৫৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা!
৫৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরোর মধ্যে ১ কোটি ৫২ লাখ ইউরো তিনি শুধু পেয়েছেন চুক্তিটা করার জন্য বোনাস হিসেবে। এ ছাড়া ৭ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আর্জেন্টাইন তারকা পেয়েছেন আনুগত্য বোনাস হিসেবে। আর্থিকভাবে বার্সেলোনার বাজে অবস্থার পরও প্রতি মৌসুমে বোনাস থেকে মেসিকে ১৩ কোটি ৮০ লাখ মিলিয়ন ইউরো দিতে হয়েছে ক্লাবটিকে।
কে জানে, ট্রান্সফার ফি না লাগলেও এত বড় অঙ্কের বেতন আর বোনাস দিয়ে মেসিকে নেওয়ার সাহস ইউরোপের ফুটবলের কয়টি ক্লাব দেখাবে! এই মুহূর্তে সেটা হয়তো ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি বা ফ্রান্সের পিএসজিই দেখাতে পারে। দুটি ক্লাবেরই মালিক যে আরব ধনকুবের!
তবে আপাতত অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, পিএসজিই মেসিকে পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে সবার চেয়ে। ডিসেম্বরে নেইমার একবার বলেছেন, আগামী মৌসুমে মেসির সঙ্গে খেলতে চান। বার্সার যেহেতু এখন নেইমারকে কেনার সামর্থ্য নেই, নেইমারের ওই কথার অর্থ তাই সবাই ধরে নিয়েছেন—মেসিই পিএসজিতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দোও মেসিকে ঘিরে গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্নে বলেছেন, ‘সেরা খেলোয়াড়দের পিএসজি সব সময়ই পেতে চায়।’