জমকালো আতশবাজি আর বর্ণিল আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে লিওনেল মেসিকে বিদায় জানাল পিএসজি। যদিও বিদায়ী ম্যাচটি জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক।
শনিবার (৩ জুন) লিগ ওয়ানে চলতি মৌসুমের শেষ ম্যাচে ক্লেমন্তের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে প্যারিসিয়ানরা। নিজেদের ক্লাবের হারের দিনে মেসির সঙ্গে ফ্রান্সকে বিদায় বলেছেন সার্জিও রামোস।
পার্ক দে প্রিন্সেসের অম্ল-মধুর অনেক স্মৃতি সঙ্গী হয়েছে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের রূপকারের সঙ্গে। দুই বছর আগে যখন ফ্রান্সে এসেছিলেন, তখন বিমানবন্দর থেকে শুরু করে প্রতিটি জানালায় হাসিমুখগুলো উন্মুখ হয়েছিল আর্জেন্টাইন তারকাকে এক ঝলক দেখার আশায়।
এবার সেই তারকার বিদায়ী ম্যাচটিতে কানায় কানায় ভরে ওঠে দর্শকে। বিদায়বেলায় মেসি মাঠে নামলেন। সঙ্গে আদরের তিন সন্তান। পরম মমতায় বাবাকে আগলে রাখলেন থিয়াগো, ম্যাত্তেও ও চিরো।
শেষ ম্যাচের আগে পিএসজির দুর্ঘটনায় আহত গোলরক্ষক সার্জিও রিকোর জার্সি গায়ে জড়ান মেসি। এ দিন হাসিমুখেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন সতীর্থদের সঙ্গে। ক্লেমন্তের বিপক্ষে অবশ্য সেরা ছন্দে খুঁজে পাওয়া যায়নি মেসিকে।
রামোস, এমবাপ্পেরা গোল করলেও সুযোগ হারিয়েছেন বেশ কয়েকবার। ৪১, ৫৪ ও যোগ করা সময়ে অবিশ্বাস্য ভুলে গোলের নিশ্চিত সুযোগ হারিয়েছেন তারা। গ্যালারিতে তখন স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জোকেও দেখা গেছে বিমর্ষ মুখে।
তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এদিন বেশির ভাগ সমর্থকের মুখেই ছিল মেসিবন্দনা। ভক্তদের আশা ভালো থেকো লিও। যেখানেই যাও রাজার মতোই শাসন করো ফুটবল দুনিয়া।