পিএসজি ৩ : ১ লাঁস
এই ম্যাচটিকে ধরা হচ্ছিল শিরোপা-নির্ধারণের লড়াই। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি, আভাস যেখানে ‘কেহ কাকে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ লড়াইয়ের।
কিন্তু লড়াইটা ‘সমানে সমান’ থাকল শুধু প্রথম আধা ঘণ্টাই। পিএসজিকে প্রথমার্ধের শেষ পনের মিনিটের মধ্যে গোল এনে দিলেন লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে আর ভিতিনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে উল্টো দিক থেকে এক গোল শোধ হলো বটে, কিন্তু স্কোরলাইন শেষ পর্যন্ত মেসিদের পক্ষেই- পিএসজি ৩, লাঁস ১।
এই জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা দৌড়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়েও গেল পিএসজি। ৩১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭২, সমান ম্যাচ খেলে লাঁস ৬৩। এবারের মৌসুমে দুই দলের ৭টি করে ম্যাচ বাকি।
পার্ক দ্য প্রিন্সেসের ম্যাচটিতে পিএসজির প্রতিপক্ষ ছিল নিজেদের সাম্প্রতিক ইতিহাসও। লাঁসের বিপক্ষে গত মৌসুমের শুরু থেকে আজকের আগপর্যন্ত টানা তিন ম্যাচ জয়হীন ছিল পিএসজি। সাম্প্রতিক সময়ে ফরাসি লিগের আর কোনো দলের বিপক্ষে পিএসজির এত ভোগেনি।
সেই ভোগান্তির সম্ভাবনা জাগিয়ে প্রথম পনের মিনিট তাল মিলিয়েই খেলে গেছে লাঁস। তবে ১৯ মিনিটে আবদুল সামেদের ভুলে পিছিয়ে পড়ে তারা। না, গোল হয়নি তখন। আশরাফ হাকিমিকে অযথা ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ঘানাইয়ান এই ফুটবলার।
১০ জনের লাঁসের বিপক্ষে পিএসজির গোল পাওয়া সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। আর সেটিই আসে ৩১ মিনিটে। আক্রমণে উঠে লাঁস ডি বক্সের সামনে এমবাপ্পেকে বল বাড়ান মেসি। প্রথম স্পর্শে ভিতিনিয়ার কাছে বল পাঠান এমবাপ্পে। ফিরতি বলে নেওয়া এমবাপ্পের শট পোস্টের ভেতরের অংশ লেগে জালে জড়ায়।
৩৭ মিনিটে গোল পেয়ে যান ভিতিনিয়াও। কর্নার সামলাতে দুই দলের খেলোয়াড়রা ছিলেন গোলমুখে। কর্নারে লম্বা করে বল না বাড়িয়ে আস্তে করে মাঝমাঠের দিকে বল বাড়ান মেসি। অরক্ষিত থাকা ভিতিনিয়া ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন।
মেসি গোল পান এর দুই মিনিট পর। বাঁ দিক থেকে ডি বক্সে ঢুকে এমবাপ্পেকে বল বাড়ান মেসি। দারুণ ব্যাকহিল ফ্লিকে বল মেসিকে ফেরত দেন এমবাপ্পে। কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
আট মিনিটের ব্যবধানে তিন গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পিএসজি।