আজ ১লা মে ২০২১ শনিবার সকাল ১০:৩০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে “মে দিবসের অঙ্গীকার, নিশ্চিত কর সকল শ্রমিকের জীবন, জীবিকা ও স্বাস্থ্যের অধিকার” এই স্লোগানের উপর গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (SDP) এর আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষেরা। সেই কৃষকের বুকে গুলি করেছিল বিএনপি। আর এবার বাঁশখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এগুলো মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি আরো বলেন, “সরকার কঠোর লকডাউনের ভিতরে গণবিরোধী অনেক কাজ করেছে, (১) শ্রমিকের বুকে গুলি করেছে। (২) অসাধু ব্যবসায়ীরা শাক-সবজি থেকে শুরু করে সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে ব্যাপক লুটপাট করেছে, কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারের কোন কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল না। (৩) সরকার মধ্য আয়ের মানুষ থেকে হতদরিদ্র মানুষ পর্যন্ত সকলের সাথে ত্রাণের নামে মসকরা করেছে। এগুলো গণবিরোধী কাজ।”
সাম্যবাদী দল (এম. এল) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, “আজ মে দিবসে আমাদের একটাই দাবি রানা প্লাজা থেকে বাঁশখালী পর্যন্ত যত শ্রমিক হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের বিচার চাই।”
সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে বাঁশাখালীতে শ্রমিকের বুকে গুলি করা, এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ খান বলেন, “আজ শুধু শ্রমিকরা বৈষম্যের শিকার না, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের যে সন্তান জন্মগ্রহণ করবেন তারাও বৈষম্যের শিকার। কারণ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ম্যাটানিটি ছুটি পান ৬ মাস আর আমার দেশের শ্রমিকরা ম্যাটানিটি ছুটি পান ৩ মাস। শ্রমিকদের সাথে এ ধরণের বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।”
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিরাজুল আলম মাস্টার, বিধান দাস সহ গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।