মোংলাসহ বাগেরহাট জেলায় বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। রবিবার জেলায় ১১০ জনের নমুনা পরিক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ জন। জেলায় করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এরমধ্যে মোংলা উপজেলায় ৫৯ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মোংলায় শনাক্তের হার ৫৫. ৯৩ শতাংশ। ফকিরহাট উপজেলায় ২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফকিরহাটে শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। শরণখোলা উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। শরণখোলায় শনাক্তের হার ৪১.৬৬ শতাংশ। এছাড়া সদর উপজেলায় ৫ জন ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে মোংলায় অধিক কঠোরতর বিধি নিষেধ কেবল কাগজ কলমেই, বাস্তবায়ন নেই। মোংলায় গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তৃতীয় দফা আরও এক সপ্তাহের জন্য অধিক কঠোরতর বিধি নিষেধের গণবিজ্ঞপ্তিতে জারি করে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। নতুন করে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে নদী পারাপারের খেয়া ট্রলার, দোকানপাট ও যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে শত শত মানুষ সংক্রমণ ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নদী পার হচ্ছেন। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পৌর শহরের উপর দিয়ে বন্দরের শিল্প এলাকায় যাতায়াত করছেন। চলছে মোংলা-খুলনা মহাসড়কে সকল ধরণের যানবাহন। কোথাও বিধি নিষেধের বালাই নেই।
মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস বলেন, বিধি নিষেধ কড়াকড়ি বাস্তবায়নে একাধিকবার বলার পরও তা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। প্রশাসনও চেষ্টা করছে কিন্তু সাধারণ মানুষ তা মানছে না। এই অবস্থায় সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে ধারনা করছে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ড. কে এম হুমাউন কবির জানান, জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১০৭ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। এখন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন, বাকিরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।