ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতিনেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
আজ শনিবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারের ১ হাজার ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। এখনও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, আশঙ্কা করছি, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আঘাত হানবে। এর প্রভাবে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল, ভোলা ও বরগুনাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির এখন আর সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আজ শনিবার সকাল থেকে বাতাসের গতিবেগ কমে এসেছে। তবে এর প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ছয় থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এ ছাড়া ভোলা ও বরগুনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
এনামুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের গতিবেগ কমে এখন ১৫০ থেকে ১৬০ হয়েছে। এখন এটাকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বলা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।