টানা তৃতীয় বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি, সরকার গঠন করবে তার দল বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা শপথ নেবে শনিবার, ফোনালাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদি। শেখ হাসিনা শুক্রবার দিল্লি যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফোনালাপের মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) বিজয়ী হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং ব্যক্তিগত ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় দুই নেতার মধ্যে এ ফোনালাপে নরেন্দ্র মোদি ভারতের নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আপনার শক্তিশালী নেতৃত্বের কারণে এনডিএর এই বিজয় সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারত ও তার জনগণ বিশ্ব অঙ্গনে আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যেকার সৌহার্দ্যপূর্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সুপ্রতিবেশি সুলভ সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি ও এনডিএ জোটকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে আপনি ভারতের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। আপনার বিজয় ভারতের জনগণের, প্রতিশ্রুতি এবং দেশের জন্য আত্মোৎসর্গের প্রতি আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব ক্ষেত্রেই অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে বাংলাদেশ, ভারতের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দুই দেশের জনগণের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ অঞ্চলের জন্য একসঙ্গে কাজ করে যাবে। আমি আগামী দিনে আপনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় রইলাম।
নরেন্দ্র মোদি তার এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে শেখ হাসিনার ওই অভিনন্দন বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এক্স বার্তায় মোদি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার আন্তরিক শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে, যা গত এক দশকে অভূতপূর্বভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি আমাদের জনকেন্দ্রিক অংশীদারত্বকে আরো শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালে দলটি পেয়েছিল ২৮২টি আসন এবং ২০১৯ সালে ৩০৩ টি আসন জিতেছিল মোদির দল।
সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে ২৭২টি আসনে জিততে হয়। এক্ষেত্রে মোদির দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। এর জন্য জোটের ওপরই নির্ভর করতে হবে মোদিকে।