ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ডেটার ব্যান্ডউইথ কিনে তা জিবি হিসেবে বিক্রি করছে।
এখানে একটি অসমতা রয়েছে। এ কারণে সরকার মোবাইলের কলরেট যেমন নির্ধারণ করে দিয়েছে, তেমনি ডেটার দামও নির্ধারণ করে দেবে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আয়োজিত (বিটিআরসি) এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, মোবাইল ডাটার ৩ ও ১৫ দিন মেয়াদি প্যাকেজ আর থাকছে না। প্যাকেজের সংখ্যা হবে সর্বোচ্চ ৪০টি। আর মেয়াদ হবে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড। নতুন এ সিদ্ধান্ত ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে।
তিনি বলেন, মোবাইলের প্যাকেজসংক্রান্ত এ নির্দেশিকা ঠিক করার সময়ই ডাটার মূল্য বেঁধে দেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন নতুন নির্দেশিকা নিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিক্রিয়া কী হয় তা আগে দেখা হবে। এটা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ডাটার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়েও আমরা কাজ করছি। এটা নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে কথা বলে তার পরামর্শ নিয়ে আপাতত ডাটার দাম নির্ধারণ বাদ রেখেছি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের এমন কথার পর মন্ত্রী বলেন, আপনার কথার মানে এই নয় যে—আমরা ভবিষ্যতেও মোবাইল ডাটার দাম নির্ধারণ করব না। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার পরামর্শে এখন দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে না। সামনের দিনে আমরা মোবাইল ডাটার দাম নির্ধারণ করব।
সভায় ডাটা প্যাকেজসংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা উপস্থাপন করেন বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। এতে আরও বক্তব্য দেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুলফিকার, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী এরিক অস, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।