নিজস্ব প্রতিবেদক : আল-জাজিরার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ইসরায়েলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই তারেকের সঙ্গে এই দুই গোয়েন্দা সংস্থার ঘনিষ্ঠতা ছিলো। কিছুদিন আগেও তারেকের ঘনিষ্ঠ চট্টগ্রাম বিএনপির এক নেতা ভারতে মোসাদের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলেই, বাংলাদেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে-তারেকের এরকম আশ্বাসের ভিত্তিতেই মোসাদ তারেকের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানা গেছে। মোসাদের উদ্যোগেই তারেকের সঙ্গে ডেভিড বার্গম্যানের ঘনিষ্ঠতা। ডেভিড বার্গম্যান দীর্ঘদিন ধরেই মোসাদ প্যারোলে কাজ করেন।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মদদে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপির জন্ম। আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়ে বলেন ‘২০০১ এর নির্বাচনে আইএসআই বিএনপিকে অর্থ দিয়েছে।’ পাকিস্তান তথাকথিত ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে ইসরায়েলের সঙ্গে গোপনে কাজ করে। মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দিলে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘোষণা করেছিলেন যে, পাকিস্তানও ইসলায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কথা ভাবছে। এসময় দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কাজ করছে।
পাকিস্তান চায়, বাংলাদেশও ইসরায়েলের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক করুক। তাহলে পাকিস্তানের জনগণের নেতিবাচক সমালোচনা কম হবে বলে আইএসআইয়ের ধারণা। অন্যদিকে মোসাদ মনে করে, বাংলাদেশে বর্তমান সরকার পরিবর্তন বা একে দূর্বল করলে ইসরায়েলের জন্য স্বীকৃতি আদায় সহজ হবে। আর একারণেই ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রামাণ্য চিত্রে অযাচিত এবং অপ্রাসঙ্গিক ভাবে ইসরায়েল প্রসঙ্গে এসেছে। বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দুজন প্রতিনিধি বৈঠকে যোগ দেবে।
সে মুহুর্তে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা বৈঠকে আসেনি। তথ্য চিত্রে কোথাও দেখানো হয়নি যে, ইসরায়েল থেকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ইন্টারসেপশন সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। কিন্তু একরকম প্রায় জোর করেই এখানে ইসরায়েল প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। প্রথমত: ইসরায়েল প্রসঙ্গ এনে মোসাদ দেখতে চেয়েছে, এদেশের জনগণ কি প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
সূত্র : বাংলা ইনসাইডার