ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর আগে নন্দীগ্রামের হারের কথা মনে করিয়ে দেন তারই সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের হার স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে হেরেছিলেন। ভবানীপুরেও হারবেন তিনি। শনিবার তমলুকের নিমতৌড়িতে এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
নন্দীগ্রামে মমতার হারের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির এই বিধায়ক বলেন, ‘কে বলেছিল তাকে নন্দীগ্রামে দাঁড়াতে? প্রায় ৮০ হাজার ভোটে তাকে জিতিয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নন্দীগ্রামের মানুষ আমাকে এক হাজার ৯৫৬ ভোটে জিতিয়েছেন। যতদিন উনি বাঁচবেন ততদিন তার কানে বাজবে, শুভেন্দুর কাছে হেরেছি, হেরেছি।’
ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী শুভেন্দু। ভবানীপুরে দলের এক নতুন মুখকে দাঁড় করানো হলেও শুভেন্দুর দাবি, ভবানীপুরে জিতবে বিজেপি। তিনি বলেন, ভোটারদের বলবো- বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসুন। পশ্চিমবঙ্গকে তালিবানি রাজত্ব থেকে বাঁচাতে হবে। পদ্মফুলে ভোট দিতে হবে।
মমতা ব্যানার্জীকে উদ্দেশ করে শুভেন্দু বলেন, ‘একজন তৃণমূল প্রার্থী, যিনি এক লাখ বিজেপিকর্মীকে ঘরছাড়া করেছেন। আর অন্য বিজেপি প্রার্থী মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ঘরছাড়াদের ঘরে ঢুকিয়েছেন। অত্যাচারিতের পাশে থেকেছেন। ভবানীপুরের লড়াই কার্যত ভোট-পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই অভিজিত সরকারের মায়ের চোখের জলের লড়াই। ভবানীপুরের মানুষ নারীদের সম্ভ্রম লুঠ করা তৃণমূলের পাশে থাকবে নাকি অভিজিত সরকারের মতো মানুষের পাশে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়।