যত বাধাই আসুক জনগণের সুবিধার জন্য ইকো পার্ক নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ বুধবার (১০ মে) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড (ডিএনসিসির যান্ত্রিক সার্কেল অফিস সংলগ্ন) ইকো পার্ক নির্মাণের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইকো পার্ক আমার বা কারও একার জন্য নয়, এটা পুরো রাজধানীর জন্য। আমরা এখানে পূর্ণ খনন কাজ শুরু করেছি। পূর্ণ খনন করতে গিয়ে আমাদের অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এখানে ৫ টি খাল থেকে পানি আসবে বৃষ্টি ধারন অঞ্চলে (রিটেনশন পন্ডে)। যত বৃষ্টি পড়বে এই রিটেনশন পন্ডে পানি আসবে এর পরে পাম্প করে নিয়ে যাব তুরাগ নদীতে। এলাকাগুলোতে কোন জলাবদ্ধতা হবে না। বাস্তবে এটা যদি ঠিক করতে না পারি তাহলে, মোহাম্মদপুর,মিরপুর, কল্যাণপুর, শেওড়াপাড়া ও কাজীপাড়া পানিতে ডুবে যাবে। ইকোপার্ক যত বেশি বড় হবে এলাকাবাসী তত বেশি সুফল ভোগ করতে পারবেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা ওয়াসা জমি অধিগ্রহণ করেছে ১৯৮৯ সালে, তখন অনেকে টাকা নিয়েছে। উচ্ছেদ করেনি ফলে এখানে ঘরবাড়ি করেছে। সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। যারা অধিগ্রহণ টাকা নেয়নি তাদের ডিসি অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন মেয়র আতিক।
মেয়র বলেন, ৫২ একর জমি ঢাকা ওয়াসা উদ্ধার করতে পারেনি। ইতিমধ্যে আমরা (উওর সিটি করপোরেশন) ৩০ একর জমি উদ্ধার করতে পেরেছি। এখানে দুই পাশে ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জায়গা আছে। ওগুলো দখলে আছে। এ ছাড়া মোট রিটেনশন পন্ডের জন্য ১৭৩ একর জমি। এখানের ১১০ একর জমি হচ্ছে বিএডিসির। জলাধার আইনে পরিষ্কার বলা আছে বৃষ্টি ধারণ অঞ্চলের (রিটেনশন পন্ডের) জন্য বিএডিসিকে জমি দেওয়া আছে। কিন্তু শীতকালে এটা হবে বীজতলা। এখানে কোনো ধরনের বিল্ডিং করতে পারবে না।